ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে। যদি ভোটার আইডি কার্ড টি তে ভুল তথ্য থাকে তাহলে কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে হয় বা এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে এই বিষয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল টি তে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে পুরোপুরি তথ্য জানতে চান তাহলে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাইলে সংশোধন ফি দিয়ে অনলাইনে আবেদন করে করতে হয়। NID কার্ড সংশোধনের আবেদন করার মাধ্যমে তথ্য সংশোধন করতে হয়। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য বেশ কিছু প্রয়োজনী ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। যা নিচে ধাপে ধাপে দেওয়া হবে।
বর্তমান সময়ে অনেকেই জানতে চাই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে? ভোটার আইডি কার্ড টি তে ভুল সংশোধন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার সংশোধনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। যাদের আইডি কার্ডে সংশোধন করার প্রয়োজন তার এই আর্টিকেল টি পড়ুন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে জেনে নিন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে বেশ কয়েক টি ডকুমেন্ট প্রয়োজন পড়ে থাকে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো হল: অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের কপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট বা সনদ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট।
ভোটার আইডি কার্ড টি তে যদি ঠিকানা ভুল থাকে তাহলে ঠিকানা সংশোধন করার জন্য বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে। সেই ডকুমেন্ট গুলো হল: ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, টেক্স বা কর প্রদানের রশিদ, বিদ্যুৎ বিল অথবা গ্যাস বিল এবং জমির খারিজ এগুলোই মূলত প্রয়োজন হয়ে থাকে।
- নাম সংশোধন। (যেমন: পিতা মাতার নাম সংশোধন)
- জন্ম তারিখ সংশোধন
- রক্তের গ্রুপ সংশোধন
- ঠিকানা সংশোধন
ওপরের এই চার টি তথ্য ভুল সংশোধন করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কাগজ বা ডকুমেন্টরের প্রয়োজন হয়ে থাকে। নিচে এই চার টি ক্যাটাগরির সম্পর্কে শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত আলোচনা করা হবে।
এনআইডি কার্ডে নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে
বর্তমান সময়ে অনেকেই জানতে চাই যে, কিভাবে NID কার্ডের নাম সংশোধন করতে হয়। নাম সংশোধন করতে বা বানান পরিবর্তন করতে চাইলে আবেদন করার সময় বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সেখানে আপলোড করে দিতে হবে। সেই কাগজ বা ডকুমেন্ট গুলো নাম নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হল:
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট বা সনদ।
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- পাসপোর্ট
- সন্তানের এনআইডি কার্ড
- কাবিননামা
- সার্ভিস বইয়ের কপি
ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের আবেদন করার সময় ওপরের দেওয়া ডকুমেন্ট বা কাগজ গুলো আপলোড করতে হবে। ডকুমেন্ট গুলো আপলোড করার সময় অবশ্যই ফাইলের সাইজ 100 KB নিচে রাখতে হবে। তাই এই বিষয়টি খেয়াল করে ফাইল গুলো আপলোড দিতে হবে।
অন্য পোষ্টঃ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে জেনে নিন।
যদি ভোটার আইডি কার্ডের নাম সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই পাবলিক পরীক্ষার বা বোর্ড পরীক্ষার সনদ আপলোড করে হবে। সেই আবেদনটি ”গ” অন্তভুর্ক্ত করা হয়। আর যদি কোন সনদ না থাকে বা সনদ জমা না দেওয়া হয় তাহলে সেই আবেদনটি ”ঘ” ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। আর “ঘ” ক্যাটাগরীর আবেদন নির্বাচন কমিশনের হেড আফিস থেকে আনুমোদন করে।
জন্ম তারিখ সংশোধন করতে কি কি লাগে জেনে নিন
জাতীয় পরিচয় পত্র টিতে জন্ম তারিখ একটি সাধারণ ভুল। বর্তমান সময়ে অনেকেরই এই সমস্যা হয়ে থাকে। এছাড়াও অনেকেরেই জন্ম নিবন্ধন সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তারিখের কোন মিল খুজে পাওয়া যায় না।
এছাড়াও বোর্ড পরীক্ষা সার্টিফিকেটের সাথে এন আইডি কার্ডটি কে জন্ম তারিখের কোন প্রকার মিল পাওয়া যায় না। এই সমস্যা দূর করার জন্য ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করে নিতে হয়। আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ সংশোধন করতে কি কি কাগজ প্রয়োজন হয় তা নিচে লিস্ট আকারে দেয়া হলো:
- বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট।
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন।
- পারিবারিক সনদ পত্রের সত্যায়িত কপি।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- চাকরীর আইডি কার্ড
- ভাই বোনদের ভোটার আইডি কার্ড
- বয়স প্রমানের রিপোর্ট
ওপরের এই ডকুমেন্ট গুলো আবেদন করার সময় জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আবেদনকারী পদপ্রার্থীর বয়স ১ থেকে ৩ বছর পযর্ন্ত জন্ম তারিখ পরিবর্তনের আবেদন “ক” ক্যাটাগরি তে থাকবে আর ৩ থেকে ৫ বছর পযর্ন্ত হলে “খ” ক্যাটাগরি তে হবে।
৫ থেকে ১০ বছরের আবেদন “গ” ক্যাটাগরি তে থাকবে এবং ১০ বছরের উদ্ধে সকল বয়সী ব্যাক্তিদের “ঘ” ক্যাটাগরি তে রাখা হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে জেনে নিন এই আর্টিকেল থেকে।
আইডি কার্ডে ঠিকানা সংশোধন করতে কি কি লাগে
ভোটার আইডি কার্ডটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। ভোটার আইডি কার্ড দিতে যদি ঠিকানা ভুল থাকে তাহলে কিভাবে ঠিকানা সংশোধন করতে হয় এই সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া রয়েছে।
আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আবেদন করার মাধ্যমে ঠিকানা সংশোধন করতে হবে। আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি বা ডকুমেন্ট প্রয়োজন পড়বে সেই ডকুমেন্টস গুলোর নিচে লিস্ট আকারে দেওয়া হলোঃ
- ডিজিটাল বা অনলাইন নিবন্ধন সনদ
- বাসার ট্যাক্স রশিদ
- গ্রামের খাজনার রিশিদ
- গ্যাস বিল
- বিদ্যুৎ বিল
- পানি বিল
- প্রত্যয়ন পত্র।
রক্তের গ্রুপ সংশোধন করার নিয়ম
বর্তমান সময়ে অনেকেই জানতে চাই ভোটার আইডি কার্ড রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে কি কি লাগে অথবা কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। এই আর্টিকেল টি তে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
রক্তের গ্রুপ শনাক্ত করার জন্য বাংলাদেশ রেজিস্টারকৃত ভালো কোন ক্লিনিক বা হাসপাতাল থেকে সঠিক ভাবে পরীক্ষা করে রিপোর্ট সংগ্রহ করুন। এই রিপোর্টটির স্ক্যান কপি সংশোধন করার সময় জমা দিলে রক্তের গ্রুপ টির তথ্য ভোটার আইডিতে সংশোধন হয়ে যাবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে বা কি কি কাগজ বা ডকুমেন্ট গুলো প্রয়োজন হয় তা এই আর্টিকেল টি তে বিস্তারিত দেওয়া রয়েছে। যদি কোন ভুল তথ্য দিয়ে থাকি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।